বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, বস্ত্রখাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থনীতির উৎস। আমাদের প্রচুর শ্রমিক রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে। রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয়।
তিনি বলেন, ভারতে সঙ্গে বাংলাদেশর সম্পর্ক অনেক পুরানো। দুই দেশের পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের বস্ত্রখাত আরো এগিয়ে যাবে । বস্ত্রখাতের ব্যবসা বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে তা দূর করা হবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্ট্রি ফোরাম (আইবিটিআইএফ) এর প্রথম সভায় গোলাম দস্তগীর গাজী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি খুবই খুশি ইন্ডিয়া বাংলাদেশ টেক্সটাইল ফোরাম কিছু সিদ্ধান্তে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। বস্ত্র খাতের টেকসই উন্নয়নে এই ফোরাম সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য ঘাটতি দূর করতে সহায়তা করবে। এর ফলে দুই দেশেরই বস্ত্রখাত ও জনগণ উপকৃত হবে।
মন্ত্রী বলেন আরো বলেন , ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা যুদ্ধ করেছি। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের বিরাট অবদান রয়েছে। ১ কোটি শরণার্থী ভারত আশ্রয় দিয়েছিলো। তারা আমাদের অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ৩ ডিসেম্বর ভারত আমাদের প্রথম স্বীকৃতি দেয়। এর পর যৌথবাহিনী পাকিস্থান আর্মির সাথে যুদ্ধ করে। ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি। আমি তখন ঢাকায়।
সভায় ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, যুগ্ম সচিব ওয়ালিউল্লাহ, জুট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব রবি কাপুর।